চাকরিজীবী মানুষের আয়টা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে। প্রতি মাসের একটা সময় নির্দিষ্ট কিছু টাকা আসে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু প্রতি মাসে ব্যয়ের পরিমাণটা কখনোই নির্দিষ্ট হয় না। শত হিসাব করে চলার পরও মাস শেষে নির্ধারিত টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় নিকটাত্মীয় বা বন্ধুদের কাছে ধারের জন্য অনুরোধ করে থাকি আমরা।
অনেকেই ধার করতে ইতস্তত বোধ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট টাকার বেতনে তো সংসার চালানো সম্ভব হয় না। এ জন্য চাকরির পাশাপাশি চাইলে কিছু কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয় করা সম্ভব। এবার তাহলে রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং: এটি হচ্ছে মুক্ত পেশা। আপনি যে চাকরিই করেন না কেন, পাশাপাশি চাইলেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। হয়তো পত্রিকা বা টেলিভিশনের স্ক্রিনে প্রায়ই সফল ফ্রিল্যান্সারের গল্প পড়ে থাকেন। অথচ একটু চেষ্টা করলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার। যা থেকে নিজের সুবিধামত কাজ করে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করতে পারেন। এ জন্য কোন ধরনের কাজ করবেন, সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে আপনাকে। যা মূল চাকরির পাশাপাশি অবসরে করতে পারেন।
ক্ষুদ্র কাজ: এমন অনেকেই আছেন যারা ছোট ছোট কিছু কাজে বেশ দক্ষ। কেউ হাতে তৈরি গয়নায়, কেউ কেক তৈরিতে, কেউ পোশাক তৈরিতে, আবার কেউ মেহেদির নকশায় খুব দক্ষ। আপনি যদি এসব কাজে দক্ষ থাকেন তাহলে আয়ের দারুণ সুযোগ রয়েছে। এ জন্য চাকরির পাশাপাশি আপনাকে বেশ প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। ঘরে বসেই প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।
রাইড শেয়ারিং: আপনার যদি মোটরসাইকেল, স্কুটার বা প্রাইভেটকার থাকে তাহলে আয়ের সুযোগ রয়েছে। অফিসে যাওয়ার পথে এবং ফেরার পথে কিছুটা বাড়তি আয় করতে পারেন রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে। আবার সপ্তাহের ছুটির দিনে এক বেলা যদি রাইড শেয়ার করেন, তাহলে ভালো অঙ্কের টাকা আয় হবে আপনার।
টিউশনি করা: অনেকেই ছাত্রজীবন থেকেই টিউশনি করান। তবে চাইলে কর্মজীবনেও পাশাপাশি টিউশনি করা যেতে পারে। অফিস শেষে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে দুই-একটা টিউশনি সহজেই করাতে পারেন। বর্তমানে অনেক পরিবার আছেন যারা তাদের সন্তানকে যত্নের সঙ্গে পড়াবেন, এমন গৃহশিক্ষক খোঁজেন। চাইলে এই সুযোগটি লুফে নিতে পারেন আপনিও। পড়ালেখা বা হাতের লেখা, আবৃত্তি ইত্যাদি শেখাতে পারেন।
সতর্কতা: মনে রাখতে হবে, চাকরির পাশাপাশি আয় করতে গিয়ে কখনোই অর্থের দিকে ঝুঁকে পড়া যাবে না। এমনটা হলে মূল পেশায় কিন্তু খুবই খারাপ করবেন আপনি। একপর্যায়ে চাকরিতে সমস্যা হবে আপনার। এতে আপনিই বিপদে পড়বেন। এ জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে আপনাকে। আবার অতিরিক্ত অর্থের লোভে অনৈতিক বা না জেনে-বুঝে কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করা থেকেও দূরে থাকতে হবে।
বার্তা বাজার/জে আই