আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিজয়ের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখেছে মুরাদনগরবাসী। বিগত সংসদ নির্বাচনের পর জয়ী প্রার্থীর পক্ষে মুরাদনগরবাসী আরও বিজয় উৎসব দেখলেও এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয় উৎসব ছিল ব্যতিক্রম। ‘হাইব্রিড ও (মুসলীমলীগ) রাজাকার সন্তান মুক্ত মুরাদনগর’ স্লোগানের বিজয় মিছিলে সর্বস্তরের মানুষের এমন ঢল যেমন আগে কখনও দেখেনি তেমনি দেখেনি জয় বাংলা মিছিলের প্রকম্পন।

মোড়ে মোড়ে দেখেছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সব শ্রেনী পেশার মানুষদের উচ্ছ্বাস। দেখেছে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী ও তাদের সন্তানদের বীরোচিত সংবর্ধনা। দেখেছে সভা-সমাবেশ ও সেমিনার।

মঙ্গলবার সকাল হতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১৯ নং দারোরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজয় র‍্যালীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের বিজয় কনসার্টে মানুষের ঢল নামে।

শুরুতে দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন মাস্টার, সাবেক সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা জামিউড় ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মানিক, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, ইউপি সদস্য কবির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ডা. অহিদুর রহমান, আবুল হোসেন মেম্বার, যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, ওবায়দুল্লাহ ও প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাসকে
ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত করেন ইউনিয়নবাসী।

বিজয় মিছিলে নেতারা বলেন, একাত্তরে যেভাবে শেখ মুজিবের ডাকে তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, এখন শেখ হাসিনার ডাকেও তারা যুদ্ধাপরাধী-জামায়াত-মৌলবাদমুক্ত দেশ গড়ার জন্য যেকোনো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

তারা তরুণদেরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক-মৌলবাদমুক্ত দেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

বার্তা বাজার/জে আই