আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন স্বতন্ত্র যারা পাস করেছে তাদের অবস্থান যতক্ষণ পরিস্কার না হবে। তারা আলাদা থাকবেন নাকী নিজেরা জোট করবেন সেটা পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল কে হবে সেটা বলতে কিছুটা ওয়েট করতে হবে।

সোমবার বিকালে আখাউড়ায় সংবর্ধনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বক্তৃতায় বিএনপির সমালোচনা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন তারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচন করে নাই। তারা করেছে হরতাল অবরোধ। ধংসের রাজনীতি। ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে মানুষ সন্ত্রাসের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে। গনতন্ত্রের রাজনীতি গ্রহণ করেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আখাউড়া-কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ আসনে বিপুল ভোটে টানা তৃতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হককে আখাউড়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার বিকালে আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ সিরাজুল হক মুক্ত মঞ্চে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।

বিএনপি জামাতকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আনিসুল হক বলেন এখনও সময় আছে আপনারা ( বিএনপি জামাত) সুষ্ঠু রাজনীতি করলে, ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতি পরিহার করে সঠিক রাজনীতি করলে জণগণ আপনাদেরকে গ্রহণ করতে পারে। তা নাহলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিবে। এখনও বিএনপি জামাত সন্ত্রাস করলে আইন আইনের গতিতে চলবে।

আনিসুল হক আরও বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। আগে যারা ছিল যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে শোষন করছিল তারা করছিল শাসন। আর জননেত্রি শেখ হাসিনা করেন সেবা। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোড মডেলে পরিচিত করেছেন।

আনিসুল হক কথা বলেন পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে, তিনি বলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ পারে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুলের তোড়া দিয়ে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। একে একে ফুলের তোড়া প্রদান করেন

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, একতা সমবায় সমিতি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, পৌরসভা, চাকরী প্রত্যাশী সংগঠন, চাকরিজিবি পরিষদ, চাকরী প্রাপ্ত সংগঠন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংঠন।

তাঁকে বিজয়ী করায় দলীয় নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন আমি আপনাদের সন্তান এবং ছোটদের অভিভাবক হিসেবে আমি আপনাদের কাছে আসি। আপনারা যে আমাকে ভালোবাসেন সেটা ভোটের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ, ঋনী। আমি সেই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করবো। আপনাদের পাশে থাকবো। তিনি সকলের দোয়া চান।

তিনি আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো শক্ত প্রার্থী ছিল না। আপনারা যদি কেন্দ্রে নাও যেতেন। ধরেন ৪৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন ২০ শতাংশ ভোট দিলেও আমি পাশ করতাম। কিন্তু আপনারা কষ্ট করেছেন। এই ঋণ শোধ করার মত আমার কিছু নাই। যে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন সে ভালোবাসা কোনদিন নস্ট হবে না। আমি সব সময় কসবা আখাউড়া বাসীর পাশে থাকবো।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম ভূইয়া।

বার্তা বাজার/জে আই