দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ৮ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনই জামানত হারাচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হতো তাঁদের। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য ছয় প্রার্থী সেই পরিমাণ ভোট পাননি।

জামাত হারানো প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোলাম নওজব চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মো.আরমান হোসেন তালুকদার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী মো. মঞ্জুর রহমান মজনু, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. মোক্তার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী রূপা রায় চৌধুরী।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বার্তা বাজারকে বলেন, ভোটের আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়। নিয়মানুযায়ী মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. কায়ছারুল ইসলাম জেলা থেকে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত-হওয়ার তথ্য ঘোষণা করবেন।

ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল-৭ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২। এরমধ্যে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে ১লাখ ৪৮ হাজার ৩৬৭। বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হলো ১৮ হাজার ৫৪৫.৭৫ ভোট।

ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ছয় প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোলাম নওজব চৌধুরী পেয়েছেন ২৬৫ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আরমান হোসেন তালুকদার পেয়েছেন ১৩৪০ ভোট, জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মো. মঞ্জুর রহমান মজনু পেয়েছেন ১৫৩ ভোট, জাকের পার্টির মো. মোক্তার হোসেন পেয়েছেন ৫১২ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের রূপা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১০৫ ভোট।

এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।

রোববার রাতে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন উপজেলা পরিষদ ভিডিও কনফারেন্স রুম থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে এ আসনে ৪২.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই