পটুয়াখালীর গলাচিপায় লুৎফর রহমান লিটনের বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান প্যাদা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে আমখোলা ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামের প্যাদা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন এর বরাবর সুষ্ঠু বিচার দাবী করে একটি অভিযোগ দেন লুৎফর রহমান লিটন।

অভিযোগে লুৎফর রহমান লিটন জানান, বাঁশবুনিয়া গ্রামে প্যাদা বাড়ির মধ্যে আমার নিজেস্ব কবলাকৃত জমিতে একটি টিনসেড ঘর রয়েছে। যেখানে দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে পটুয়াখালী শহরে বসবাস করছি আমরা। বেশ কয়েকদিন যাবত আমার বসতঘর ভাংচুরের পায়তারা চালাচ্ছে শাহজাহান প্যাদা, তার ছেলে কামাল প্যাদা, মিন্টু প্যাদা, জহিরুল প্যাদা, সবুজ (জামাই) সহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা। আজ সকালে ফোনে শুনতে পাই আমার বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে।

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার বসতঘরটি ভাংচুর করা ও বসতঘরের মালামাল দেখতে না পেয়ে শাহজাহান প্যাদা এবং তার ছেলেদের জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটে লুৎফর রহমান লিটনের প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় জহিরুল প্যাদা জানান, এটা আমার বাবা দাদার সম্পত্তি। তাই আমাদের বসতঘরের জন্য আগের বসতঘরটি ভেঙে ফেলেছি। আর লুৎফর রহমান লিটন আমাদের ফুফাতো ভাই তারা জমি পাবে ঠিক কিন্তুু আমরা অন্য জায়গা দিয়ে তাদের জমি দিয়ে দিবো।

আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বর্তমানে সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যাতে দুপক্ষের মধ্যে কোন ধরনের সংঘাত না ঘটে।

বার্তাবাজার/এম আই