মাদারীপুরের রাজৈরে ৪ বছরের এক শিশু কন্যাকে ইনজেকশন দেয়ায় তার মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মৃত্যুঞ্জয় রায় নামে এক হাতুড়ি ডাক্তারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (০১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের নিউ জননী ফার্মেসীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু হাফিজা আক্তার (৪) ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্টপুর উজিরকান্দি গ্রামের আক্কাস শেখের মেয়ে। সে রাজৈর উপজেলার শংকরদী পশ্চিম পাড়া গ্রামের নানা বাড়ি থাকতেন। এ ঘটনায় প্রথমে পরিবারের লোকজন শিশু হাফিজার মৃত্যুতে ওই হাতুড়ি ডাক্তারের বিচার দাবি করলেও পরে অদৃশ্য কারনে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আক্কাস শেখ তার শিশু কন্যা হাফিজাকে গোপনাঙ্গের পাশে ফোড়ার (বাঘি) চিকিৎসা করার জন্য টেকেরহাটের নিউ জননী ফার্মেসীতে নিয়ে আসে । এসময় হাতুড়ি ডাক্তার মৃত্যুঞ্জয় ওই শিশুকে ইনজেকশন দিলে শিশুটি সাথে সাথে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর অবস্থায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই হাতুড়ি ডাক্তার মৃত্যুঞ্জয় এর আগেও একাধিক বার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জরিমানা দিয়েছেন। এছাড়াও তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা নারী রোগীদের সাথে তিনি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

মৃত শিশুর পিতা আক্কাস শেখ জানান, আমার মেয়ের ফোড়ার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার মৃত্যুঞ্জয়ের নিকট আনলে সে একটি ইনজেকশন দিলে আমার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পর শুনি আমার মেয়ে মারা গেছে।

খালা কবিতা জানান, আমার ভাগিনী হাফিজাকে ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় ইনজেকশন দেয়ার পর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।

তবে এ ঘটনায় প্রথমে পরিবারের লোকজন শিশু হাফিজার মৃত্যুতে ওই হাতুড়ি ডাক্তারের বিচার দাবি করলেও পরে অদৃশ্য কারনে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।

অভিযুক্ত হাতুড়ি ডাক্তার মৃত্যুঞ্জয় জানান, আমি চিকিৎসা করার জন্য লোকাল পুশ করার পর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে আমি রাজৈর হাসপাতালে প্রেরণ করি।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মহিউদ্দিন হাসান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। রোগিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়।

রাজৈর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, বিয়ষটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে পরিবার থেকে কোন অভিযোগ পাইনি।

প্রসঙ্গত, এ ধরনের ঘটনা টেকেরহাটসহ রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে অহরহ ঘটলেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই