সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ বেআইনিভাবে দখল করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হয় বিএনপি নামের সংগঠন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত খুনির দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। জিয়া-এরশাদ রাষ্ট্রীয় সমস্ত অর্থ-সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনী বানিয়ে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করে। আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে আনে। তাদের নিয়েই রাজনীতি করে।

নৌকাকে দেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। ৭৫ এর পরে জিয়া এরশাদ যারাই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের মানুষের আয় তারা বাড়াতে পারেনি।

নতুন ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন বলেন, আমাদের যারা নতুন ভোটার তাদের প্রতি আমার আহ্বান, এই ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার শুধু কোটালীপাড়া বা টঙ্গীপাড়া নয়, সারাদেশের নতুন ভোটারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি- তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, মানুষ হত্যা করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারছে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে আগুন দিচ্ছে। তাদের ধরিয়ে দিন, শাস্তি দিন। বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে? আর বিশ্বাস করে না বলেই তারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি এবং পারবেও না। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।

এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে জানিয়ে সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিরে এই চক্রান্তের সমুচিত দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ অনেকেই।

মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-০৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮শ’ ৫৬ জন। প্রতিদ্বন্দীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ প্রার্থী।

বার্তা বাজার/জে আই