আজ (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞা মিলনায়তনে ‘৭১’র চেতনায় লিভার বিশেষজ্ঞ ক’জনা’ প্রযোজিত নির্বাচনী প্রচার সঙ্গীত ‘ভোট দিব সবাই’-এর আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীনের সভাপতিত্বে এতে আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক জেষ্ঠ সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, মিউজিক ভিডিওটির নির্মাতা সাইফ আহম্মেদ এবং গীতিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ নূর-ই-আলম ডিউ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোকসানা বেগম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে ‘ভোট দিব সবাই’ গানটির আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার আরম্ভ হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানটিতে গানটির পোষ্টারটিও আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়।

নিজের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ডা. ডিউ জানান আগুন সন্ত্রাসী ও মানুষের ভোট দেয়ার গনতান্ত্রিক অধিকার হরন করার সক্রান্তে যারা লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ এই গানটি। এর মাধ্যমে তিনি আগামী নির্বাচনে উৎসাহ-উদ্দিপনা নিয়ে ভোটদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চান। মিউজিক ডিভিওটির নির্মাতা জনাব সাইফ আহম্মেদ বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে এত বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যে এর সবগুলো তিনি সাড়ে চার মিনিটের এই মিউজিক ভিডিওটির স্বল্প পরিসরে তুলে ধরতে পারেননি।

জনাব ঝুনা চৌধুরী তার বক্তব্যে জানান,লিভার বিশেষজ্ঞদের এই গানটি শুনে তার কলিজা জুড়িয়ে গিয়েছে। অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের মত এদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রাপ্ত উন্নত চিকিৎসা সুবিধাগুলোর কথা তুলে ধরে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে এদেশ থেকে আর কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না।

শ্যামল দত্ত তার বক্তব্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটিকে তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করে প্রত্যাশা করেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে আমরা পাকিস্তানী হানাদারদের পরাজিত করেছিলাম এবং তারপর আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে পাকিস্তানী দোসরদের ক্ষমতা থেকে অপসারন করে দ্বিতীয়বারের মত মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম, তেমনি আগামী নির্বাচনে তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী জনসভাগুলোর শুরুতে উদ্দীপনামূলক সঙ্গীত পরিবেশনের স্মৃতিচারন করে বলেন, ব্যতিক্রমি এই নির্বাচনী সঙ্গীতটি আগামী নির্বাচনে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করবে। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গানটির কথা, সুর ও গায়কির উচ্ছসিত প্রশংসা করে একে হারানো দিনের আধুনিক বাংলা গানের সাথে তুলনা করেন। সঙ্গীতের প্রতি তার নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়ে বিচারপতি মানিক গানটির ব্যাপক প্রচারের উপর জোড় দেন, যাতে মানুষ আরো বেশি বেশি করে ভোটদানে আগ্রহী হয়ে উঠে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. স্বপ্লীল জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি এদেশের লিভার বিশেষজ্ঞদের কৃতজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তারা এই গানটির প্রযোজনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি এবং গানটির গীতিকার ডা. ডিউসহ এই গানটির সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেক লিভার বিশেষজ্ঞ জোট সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল জানান তারা প্রত্যেকে তাদের ছাত্র রাজনীতির এই অতীত সম্পৃক্ততার জন্য গর্বিত এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা থেকেও তারা এই গানটি প্রযোজনা করেছেন। তিনি আগামী নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জাতিকে তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত দ্বিতীয় বিপ্লব সফল করার আহবান জানান। কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

উল্লেখ্য ৭১’র চেতনায় লিভার বিশেষজ্ঞ ক’জনা প্রযোজিত এই নির্বাচনী প্রচারনায় সঙ্গীতটি ইউটিউবে নিচের লিংটিতে পাওয়া যাবে।