দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৪) দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা আকশেদ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। একইদিন রাতে ভূক্তভোগী কিশোরীর দাদা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে আকশেদ আলীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার আকশেদ আলী (৪০) নারায়নপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। ভূক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সে বাকপ্রতিবন্ধী। গ্রেপ্তার আকশেদ গ্রাম সম্পর্কে তার দাদা হয়।

কিশোরীর পরিবার ও মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৭টার সময় রাগ করে দাদার বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। পরিবারের ধারণা সে তার নানীর বাড়িতে গিয়েছে। তবে শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যে ওই কিশোরী তার নানীর বাড়িতে যায়নি। খোঁজাখুজি এক পর্যায়ে বেলা ১১টার সময় নিখোঁজ কিশোরীর সন্ধান পেতে গ্রামে মাইকে প্রচারনা চালায় পরিবারের সদস্যরা। মাইকে প্রচারণা শুনতে পেয়ে গ্রেপ্তার আকশেদ আলী কিশোরীর হাতে ১০০ টাকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় এবং তাকে তার নানীর বাড়িতে চলে যেতে বলে। পরে ওই কিশোরী দাদার বাড়িতে গিয়ে সব কথা খুলে বললে, পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী আকশেদ আলীকে আটক করে।

মামলার বাদী জানান, তার নাতনীকে নিজ বাড়িতে হাত-পা বেঁধে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দুদিন আটকে রেখেছিল আকশেদ আলী। এসময় সে একাধিক বার জোরপূর্বক তার নাতনীকে ধর্ষণ করেছে বলে তার নাতনী তাদেরকে জানিয়েছে। মূলত মাইকে প্রচারণা শুনতে পেয়ে আসামী তার নাতনীকে ছেড়ে দিয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা আসামীকে আমাদের হেফাজতে নেই। তাকে শনিবার সকালে দিনাজপুরের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই