লম্বা সময় পর দলে ফিরেছেন আন্দ্রে রাসেল, শিমরন হেটমায়ারদের মতো ক্রিকেটাররা। ফলে শক্তি বেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যার প্রভাব পড়েছে মাঠের ক্রিকেটেও। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের ১০ রানে হারিয়েছে। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও ২-০তে এগিয়ে যাওয়া ক্যারিবিয়ানদের জন্য অন্ধকার ঠেলে নতুন ভোরের মতো!

গত রাতে গ্রানাদায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করেছেন ব্রেন্ডন কিং। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।

১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ৫ রান করে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন জস বাটলার। অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার ফিল সল্ট প্রতিরোধ গড়েন। উইল জ্যাককে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষটা করেন। তবে ২৫ রানে থামতে হয়েছে তাকে।

জ্যাক করেছেন ২৪ রান। আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এদিন চারে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন স্যাম কারান। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়েই ফিফটির দেখা পেলেন এই অলরাউন্ডার। ৩২ বলে তার ৫০ রানের ইনিংসই ইংলিশদের লড়াইয়ে রেখেছিল। কারানের বিদায়ের পর আর কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি।

এর আগে ব্যাটিং করেতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ক্যারিবিয় ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং। মেয়ার্স ফিরেছেন ১৬ বলে ১৭৬ রান করে। এরপর নিকোলাস পুরাণ, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপরা দ্রুত বিদায় নেন। এই তিনজনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ফলে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে ক্যারিবিয়ানরা।

তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কিং। রভম্যান পাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন এই ওপেনার। পাওয়েল করেছেন ২৮ বলে ৫০ রান। আর কিং অপরাজিত ছিলেন ৮২ রান করে।

বার্তাবাজার/এম আই