জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতকে (সম্মান) বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের ‘ডিন্‌স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর চার বছর মেয়াদি স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ মেধাবীদের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড চালু হয়েছে। এবার ৪৭ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন এ অ্যাওয়ার্ড। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, ডিনস অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে বারবার মিটিং করে সর্বশেষ বিভাগগুলো থেকে রেজাল্টসহ তালিকা পাঠানো হয়। সেসব তথ্যের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা করতে পেরেছি। এবার ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সব অনুষদের আওতাধীন প্রতিটি বিভাগ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী একজন করে শিক্ষার্থী এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হবে। এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হতে হলে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৭৫ থাকতে হবে। একই বিভাগে একাধিক শিক্ষার্থী সমান সিজিপিএ অর্জন করলে, তাদের প্রথম থেকে অষ্টম সেমিস্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত মোট নম্বর বিবেচনা করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন।

এছাড়াও প্রতিটি বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থী এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্নাতক শ্রেণির কোনো সেমিস্টারে রিটেক ও পুনঃভর্তি থাকতে পারবেন না। কোনো কোর্সে মানোন্নয়ন ও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থাকতে পারবেন না। কোনো সেমিস্টার পরীক্ষায় এক বা একাধিক কোর্সে ‘এফ’ গ্রেড থাকা যাবে না। এছাড়া প্রতিটি সেমিস্টারে শতকরা ৮০ ভাগ উপস্থিতিসহ স্নাতক অধ্যায়ন কালে কোনো প্রকার আর্থিক, অ্যাকাডেমিক অথবা শৃঙ্খলা বিষয়ক শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়া যাবে না।

এসব বিবেচনায় দুটি শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে কলা অনুষদ থেকে নয়জন, বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ছয়জন, বিজনেস স্টাডিজ থেকে আটজন, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সাতজন, আইন অনুষদ থেকে দুইজন, লাইফ অ্যান্ড সায়েন্স অনুষদ থেকে ১৩ জন এবং চারুকলা অনুষদ থেকে দুইজনকে দেওয়া হবে এ অ্যাওয়ার্ড।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বারবার ডিনদের সঙ্গে মিটিং করে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় কাজ করতে চাই। ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালুর করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলে মনোনিবেশ করবে। খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।