গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও আপগ্রেডেশন জটিলতা প্রকাশের পর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কেবল ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম তদন্তে নাকি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হওয়া সব অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা চিঠিতে স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- ইউজিসি প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো বখতিয়ার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস।

দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের নিয়োগ আপগ্রেডেশন সক্রিয় চাকুরিকাল ডিউ ডেটসহ সকল বিষয়ে অনিয়ম জটিলতা নিরসনে আগামীকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কেবল ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ডের উপর নিয়োগ আপগ্রেডেশন নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এমনটি বলা হয়নি।

৩৭ তম রিজেন্ট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট নিয়োগে অনিয়ম আপগ্রেডেশন জটিলতা নিরসনের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্যের সময়ে সকল নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান বলেন, চিঠিটি এই মুহুর্তে আমার হাতে না থাকায় সঠিক কিছু বলতে পারছি না। এছাড়া তদন্ত কমিটির ব্যাপারে আমার কথা বলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষেধ আছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনা মাত্রই তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের, অর্থনীতি, মার্কেটিং, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান বিভাগ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফুড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সহ বেশ কয়েকটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ নীতিমালা ভঙ্গ করে ৩২ বছরেরও বেশি বয়সধারী প্রার্থীদের নিয়োগ থেকে শুরু করে মাস্টারোলের কর্মরত কর্মচারীদের নিয়োগ না পাওয়া, স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিথিলযোগ্য করে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়াসহ আর্থিক লেনদেনের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে । এছাড়া সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্ত্বেও প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত ১৪ পদের বিপরীতে ১৫ জন নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বার্তা বাজার/জে আই