দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা তারাপুর-কমলসাগর সীমান্ত হাট। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার তারাপুর-কমলসাগর সীমান্ত হাট। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হাট চালু না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। লতাপাতা আর আগাছায় আচ্ছন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট।

এদিকে দীর্ঘদিন কার্যক্রম না থাকায় অযত্নে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাটের অবকাঠামো। ভেতরের অবকাঠামোও আগাছায় ভরা। এক সময় যে হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মূখর থাকত, সেই হাট এখন নীরব, নিস্তব্ধ হয়ে আছে। সে সাথে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছেন হাটের ব্যবসায়ীরা। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, হাট চালু করতে ভারত-বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

২০১৫ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলসাগর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে এ হাটটি যাত্রা শুরু করে। মূলত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের কেনাকাটার সুবিধায় এ হাটটি চালু করা হয়। সীমান্তের শূণ্য রেখায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ মালিকানা ভূমির উপর সপ্তাহের প্রতি রবিবার হাট বসত। উভয় অংশের ৫০টি দোকান ঘরে ১০০ জন ব্যবসায়ী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার কারণে তিন বছর ধরে হাটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। দ্রুত এ হাট চালু না করলে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা দ্রুত এ হাটটি চালু করতে দু’ দেশের নীতি নির্ধারকদের প্রতি দাবী জানায়।

স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা বলেন, পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি এপার আর ওপার বাংলার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হতো এ হাটটি। যা দুই বাংলার মানুষের সম্প্রীতির মেলবন্ধকে আরো সমৃদ্ধ করেছিলো। কিন্তু বিগত তিন বছর বন্ধ থাকায় আমরা কেনাকাটা করতে পারছি না। তাছাড়া ভারত থেকে আমাদের আত্মীয় স্বজনরা আসতো তাদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাই না। এসময় তারা বলেন, অবিলম্বেই যেন এ সীমান্ত হাটটি চালু করা হয় তাহলে এ হাট থেকে পণ্য কিনতে পারবে এবং ওপার বাংলায় থাকা তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাবে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাটের কার্যক্রম শুরু করতে চলতি বছরের জুনে দু’দেশের এডিএম পর্যায়ের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত এলেই প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষে দ্রুত হাট চালু করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই