এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে ধারালো অস্রের উপর্যপরি আঘাতে গুরতর আহত লালন ফকির মৃত্যু। শনিবার রাতে তাকে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে গুরুতর জখমের পর প্রথমে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে আজ রোববার ঢাকায় নেওয়া হয়। ধারালো অস্রের আঘাতে লালনের দুই পা ও দুই হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশত কোপের আঘাত রয়েছে।

শনিবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের কুমিরমরা ফেরিঘাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার রশিদ শেখ এর ছেলে বাবু শেখ এর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল লালনকে ধাওয়া করে। এরপর সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় হামলাকারীরা লালনকে আটক করে ধারালো অস্র দিয়ে উপর্যপরি কুপিয়ে তার হাত ও পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর তাকে মৃত ভেবে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে লালনের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি জানান, হামলার শিকার পিরোজপুরের পূর্ব ডুমুরিতলা গ্রামের হান্নান ফকিরে ছেলে লালন পিরোজপুর- ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়াল এর এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ বাবু শেখ লোকজন নিয়ে লালনের উপর হামলা করেছে।

শনিবার রাতে লালনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বলে জানান, জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে খুলনায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

বার্তাবাজার/এম আই