আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি সহ ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যাচাই-বাচাইয়ের প্রথম পর্ব শেষে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে- জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্য পরিচালকগণ প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ি সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার।

আরও জানা যায়, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের Credit Information Bureau (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ি সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।

এবিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি বলেন, ‘যে অযুহাতে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে সেটি আদালতের মাধ্যমে স্টে করা ছিলো। কেন মনোনয়ন বাতিল করা হলো আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো।’

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আরমানসহ বাকি চারজনের মনোনয়ন কেন বাতিল করা হয়েছে সেটি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

বাতিল হওয়া বাকি তিনজন হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও শামসুদ্দিন ইলিয়াছ।

এছাড়াও কক্সবাজার- ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ বাদশা ও কক্সবাজার-২ আসনের কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীমের মনোনয়ন স্থগিত রাখার পর বৈধতা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলমসহ ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিমুল শর্মা বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্বে কক্সবাজার ৩ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের মনোনয় যাচাই-বাছাই করা হবে। যাদের বিবেচনায় রাখা হয়েছে তাও জানানো হতে পারে।’

বার্তাবাজার/এম আই