আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোকে আগামী ৫ ডিসেম্বর তলব করেছে আদালত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উখিয়া-টেকনাফ আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য্য ১ ডিসেম্বর এই নির্দেশ প্রদান করেন।
নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোর উদ্দেশ্যে অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ১টার সময় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে আপনার গাড়িসহ ১০ থেকে ১২টি নোয়াহ গাড়ি নিয়ে শোডাউন করেছেন। আপনার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আপনি আপনার গাড়ী বহর নিয়ে শোডাউন করেছেন। আপনার গাড়ী বহরের সামনের দিকে একটি জীপ ও পেছনে ১০/১২টা নোয়াহ গাড়ি ছিল, যার দরুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরী হয়। তদুপরি আপনার গাড়ী বহরের একদম সামনের দিকে জীপ গাড়ির পরের একটি নোয়াহ গাড়ীতে আপনার নাম ও ছবি সম্বলিত” লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিন” পোষ্টার লাগানো ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে অনুরূপ পোষ্টার সম্বলিত শোভাযাত্রা কর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ৮(ক) ও (খ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
উপর্যুক্ত বিষয়ে কেন নির্বাচন কমিশনকে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না তা আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনাকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল এর জন্য কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ ভবনে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১-এ(৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হল।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার-৪ আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য্য ১ ডিসেম্বর উখিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থানের কথা জানান। এ জন্য রাজনৈতিক দলসমূহ ছাড়াও ভোটারসহ সব শ্রেণির সহযোগিতা কামনা করেন মৈত্রী ভট্টাচার্য্য।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।
এছাড়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা অনুসারে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করতে পারবেন না।
বার্তাবাজার/এম আই