চতুর্থ দফা অবরোধের শেষ দিনে আজ সোমবার গণঅধিকার পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পুরানা পল্টন কালভার্ট রোড থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে জামান টাওয়ারে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, এই আওয়ামী সরকার আজকে এতোটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে যে তারা এখন লাগাম ছাড়া পাগলা ঘোড়ার মতন আচরণ শুরু করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ কৃষক শ্রমিক কেউই রেহাই পাচ্ছেনা। আমার শ্রমিক ভাইদের রক্ত এবং ঘামে শেখ হাসিনা আজ গণভবনে বিলাসী জীবন উৎযাপন করছেন। শ্রমিকদের টাকায় অবৈধ সরকারের এমপি মন্ত্রীগণ আজ দেশে বিদেশে আমোদ ফুর্তি করছেন।

ফারুক হাসান আরো বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে এখন মারিয়া হয়ে উঠেছে। রাজপথে দশ জন মানুষ বসে গল্প করলেও সরকার সেটাকে সহ্য করতে পারছেনা। সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে তফসিল দেওয়ার পায়তারা শুরু করেছে। আমরা গণঅধিকার পরিষদ হুশিয়ারী দিতে চাই, সরকার যদি রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে আমরা গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সকল বিরোধী দলগুলো মিলে নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাও করবো।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, এই সরকার এখন পুলিশ আর র‍্যাব দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, সরকারের এই পুলিশ বাহিনীর ভয়ে আমরা আন্দোলন বন্ধ করবোনা। আজকে আওয়ামী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে শুধু বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী নয়, শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে। কোন আন্দোলনই সহ্য করতে পারছেনা ভোটারবিহীন সরকার।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে বক্তারা আরো বলেন, আমরা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির সাথে সংহতি জানাচ্ছি। একইসাথে শ্রমিকদের পাশে গণঅধিকার পরিষদ আছে এবং থাকবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণনেতা অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, জিয়াউর রহমান, শামসুদ্দিন, আরিফ বিল্লাহ, জাকির হোসেন; ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইমামউদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ; ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদসহ প্রমূখ।

বার্তা বাজার/জে আই