পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কিশোর গ্যাং “ফল সোহেল গ্রুপ” এর মূল হোতা সোহেল ওরফে ফল সোহেল সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশী পিস্তল,দুটি ম্যাকজিন ও ১২ রাউন্ড গুলি ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার চিত্রা পাতাকাটা গ্রামের মৃত. চানমিয়া মাঝির ছেলে সোহেল ওরফে ফল সোহেল (২৭), একই উপজেলার বহেরা তলা গ্রামের নূর আলম মাতুব্বরের ছেলে এনামুল হক রনি (২৮), দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মোঃ কামাল সরদারের ছেলে হাসান সরদার (২৯), চিত্রা পাতাকাটা গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে আখতারুজ্জামান নিজাম (৩৪), মঠবাড়িয়া গ্রামের আঃ হক হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ (২১), বকসির ঘটিচোরা গ্রামের মজিদ খানের ছেলে বেল্লাল খান (৩৮), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের ফুল মিয়া বেপারীর ছেলে লাবু বেপারী (২৪), জানখালী গ্রামের মৃত. তোতাম্বর আলী আকনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বেলায়েত আকন (৫৫), মৃত আজিজুর রহমান গোলদারের ছেলে মোঃ রেদোয়ান গোলদার (৪২), পৌরসভার নূর মোহাম্মদের ছেলে মিলন (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌরসভার সামনের সড়কে গত ০৬ নভেম্বর রাতে পুলিশ কিরোশ গ্যাং নেতা সোহেল ওরফে ফল সোহেল কে মঠবাড়িয়া থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোর গ্যাং এর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য পুলিশের উপর আক্রমন ও হামলা চালিয়ে সোহেল কে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপরই জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা সোহেল ওরফে ফল সোহেল সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় সোহেলের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল , ০১ টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি এবং কিশোর গ্যাং সদস্য রেদয়োন হালদারের নিকট থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল , ০১ টি ম্যাগাজিন, ৮ রাউন্ড গুলি এবং দুইটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আরো বলেন গ্রেপ্তার সোহেল ওরফে ফল সোহেলের নামে মঠবাড়িয়া থানায় একাধীক মামলা রয়েছে । মঠবাড়িয়া উপজেলায় সাধারণ মানুষের কাছে অতঙ্কের নাম হচ্ছে এই “ফল সোহেল গ্রুপ”। এই কিশোর গ্যাং সহ অন্য সকল কিশোর গ্যাং রোধে জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোহেল ও ফল সোহেলের বিরুদ্ধে ডিবি ওসি হত্যা চেষ্টা মামলা সহ ১৮ মামলা রয়েছে।
বার্তা বাজার/জে আই
