আগামী বছর ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মেয়র’স কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। টুর্নামেন্টে ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবলের পাশাপাশি ব্যাডমিন্টন খেলাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সৌরভ গাঙ্গুলি এসে মেয়র’স কাপের ট্রফি উন্মোচন করেছেন।

তিনি বলেছেন ডিএনসিসি মেয়র’স কাপের ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে কলকাতা সিটির টিমের সাথে খেলবে। আলাপ আলোচনা চলছে এটি আয়োজন করা হবে।’ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৩) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ডিএনসিসি মেয়র’স কাপ-২০২৩ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য ‘ডিএনসিসি মেয়র কাপ ২০২৩ এর ফুটবল ফাইনাল ম্যাচে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ড ও ৩৯ নং ওয়ার্ড মুখোমুখি হয়। নির্ধারিত সময়ে ০১-০১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড জয়লাভ করে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘খেলাধুলায় মেতে থাকি মাদককে না বলি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ঘরে বসে না থেকে মাঠে আসতে হবে। আমরা মাঠে এসে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ডিএনসিসিতে বেশকিছু মাঠের উন্নয়ন করে দিয়েছি। মেয়র’স কাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুবসমাজকে মাঠে আনা সম্ভব হয়েছে।’ মেয়র আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা পছন্দ করেন।

কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সময় যখন প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এই বালুমাঠে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ঘোষণা দেন এই বালুমাঠে কোন ভবন নির্মাণ করা হবে না, এখানে খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে।’ ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘২৮ তারিখে সমাবেশকে কেন্দ্র করে মিটিংয়ের নামে যদি সিটি কর্পরেশনের কোন গাছ, লাইট, মিডিয়ান বা অন্য কোন সম্পত্তির ক্ষতি করা হয় তাহলে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে জনগণকে সাথে নিয়ে। কেউ নাশকতা করলে তা বরদাশত করা হবে না।

মেয়র বলেন, ‘আমি আজ মেয়র’স কাপ ফাইনাল খেলা শুরুর আগে মাঠেই কাউন্সিলরদের নিয়ে এ বিষয়ে জরুরী বৈঠক করেছি। কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা নিজ নিজ এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি রক্ষায় সচেতন থাকে। কাউন্সিলররা নাশকতা সৃষ্টিকারীদের তালিকা তৈরি করবে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুতরাং যারা বিশৃঙ্খলা করতে চান তাদের বলব আপনারাও শান্তিতে থাকুন, আমরাও শান্তিতে থাকি। কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না।’

বাংলাদেশ আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএনসিসি মেয়র ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবল খেলা আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে মাতিয়ে রেখেছেন। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে ডিএনসিসির এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিগত পনেরো বছর যাবত বোমাবাজির সাথে অভ্যস্ত নয়, হরতালের সাথে অভ্যস্ত নয়, সন্ত্রাসবাদের সাথে অভ্যস্ত নয়। যারা এই দেশে রাস্তাঘাট অচল করতে চায়, জানমালের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কর্মসূচির নামে কোনো তান্ডব করা হলে এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না।’ খেলা শেষে ডিএনসিসি মেয়র অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সন্ধ্যায় জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, ঢালা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ডিএনসিসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম বাসেকসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বার্তা বাজার/জে আই