ভারী বৃষ্টিপাতে বগুড়ায় মরিচের জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে মরিচ চাষীদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে কয়েকগুন। মরিচ ক্ষেতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলায়। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যা ভদ্রাবতী নদীর পানি বৃদ্ধি করেছে। আর এতেই মুরাদপুর গ্রামের প্রায় একশো হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।

মুরাদপুর গ্রামের কৃষকরা বেশি লাভের আশা ও স্বপ্ন নিয়ে মরিচ চাষ করেন। মরিচ চাষী অমুল্য সরকার বলেন, জমিতে লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু মরিচের দাম কম পাওয়ায় যা খরচ হয়েছে সেটি তুলতে হিমসিম খাচ্ছি।

মরিচ ক্ষেতে পানি জমে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। মরিচগাছ রক্ষায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিলেও একটু পরেই আবার পানিতে ডুবে যাচ্ছে মরিচগাছ। মরিচ চাষী রহুল আমিন জানান, বৃষ্টির আগে ৮ হাজার টাকা মণ প্রতি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।

বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হলেও অনেক জমি থেকে মরিচ তুলতে পারছেন অনেক কৃষক। তারা বলছেন মরিচের দাম আগের তুলনায় এখন অনেক কম। ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে মণ প্রতি। এ টাকায় বিক্রি করলে লোকজনদের মজুরি দিতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার রাজা বাজারের মরিচ বিক্রেতা বলছেন, ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষেত নষ্ট হলেও মরিচের জোগানে খুব একটা টান পড়ছে না। ১২০ টাকা কেজি ক্রয় করে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।

প্রবল বৃষ্টিতে মরিচের জমি নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের আশা এই সংকট কেটে উঠতে জেলা, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের সহজ শর্তে ঋন ও সরকারি অনুদানে চাষীরা আবারও ঘুরে দাড়াতে পারবে বলে এমনটাই আশা স্থানীয় কৃষকদের।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার