বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকা কিন্তু উল্টা দিকে ঘুরানোর চেষ্টা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান যারা খুনি রাজাকার, তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জিয়াউর রহমানের হত্যার পর এরশাদও ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছিল।

আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিল, তাদেরকে জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানাই দিছিল। আর এরশাদ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই খুনিদেরকে ফ্রিডমপার্টি করতে দিয়ে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যাতে বৈধ হয় সেই জন্য তাদেরকে প্রার্থী হতে অনুমতি দিয়েছিল। আর খালেদা জিয়া একজন খুনিকে বিরোধী দলীয় নেতা বানাই দিছিল। আমি প্রথমেই বলেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকাটা উল্টা দিকে ঘুরানো হয়েছিল। এই গুলি হচ্ছে তার প্রমাণ।

এসময় বিএনপি’র সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামাত আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, বিএনপি কখনো সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই তারা সব সময় পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে,ভোট চুরি করেছে মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই,এভাবে ক্ষমতায় এসে তারা দল সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

নির্বাচন হবে হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য, ২০৪১সালের মধ্যে বাংলাদেশ যে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয় সেই বাস্তবায়নের জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য আগামী নির্বাচনে আবারও #আপনাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং কসবা আখাউড়া থেকে আমার মতন আপনাদের সন্তানকে জয়যুক্ত করারা আহবন জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা শোধ করব। এসময় তিনি জনগণের কাছে নিজের জন্য ভোট ভিক্ষা চান।

এ সময় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট অপরাধ হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নস্ট করে সেইজন্যে ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে।

কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে সব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এ গুলোর আমুল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র ৪টি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ নেই কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। এনিয়ে যে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র।

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দীন, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/জে আই