সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএস নুনু মিয়া ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান রয়েছেন মুখোমুখি অবস্থানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু’জনই দুজনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মাঝে মৌন উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় তাদের কর্মি সমর্থকদের মধ্যে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এছাড়া তাদের বাক-বিতন্ডা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বিষেদাগার করে আসছেন পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান। এ নিয়ে প্রায় নীরব ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চার জনের বিরুদ্ধে এক যুবলীগ নেতা আদালতে টাকা আত্মসাতের মামলা করলে ক্ষেপে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে পৌর মেয়রকে সতর্ক করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

এখানে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মায়ের কসম দিয়ে বলছি, মুহিবুর রহমান সাবধান, এতোদিন আমি শুধু অবজারভ করেছি, ধৈর্য্য ধরেছি। তোমার দৌড় কোথায় তা আমি জানি বলে নানা কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আর যদি আমার বিশ্বনাথের সাধারণ কোন মানুষকে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। তাহলে আমি তার পাশে থাকবো। সাবধান করে দিচ্ছি। আর বেশী বাড়াবাড়ি করবেন না। আজকের পরে মেয়রের সকল বক্তব্য প্রত্যাহার করার হুশিয়ারি দেন তিনি। আর তা না হলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নিয়ে তোমার বিরুদ্ধে মেয়রের সকল অন্যায়ের মোকাবিলা করবো’।

এর আগে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মেয়র মুহিব উপজেলা চেয়ারম্যানকে চোর আখ্যায়িত করে তাকে রুখে দেয়ার বার্তা দেন এবং এলাকার মানুষকে তার সাথে থাকার আমন্ত্রণ দেন। এছাড়া তার আগেও মেয়র মুহিব ভুক্তভোগিদের ও মামলার বাদিকে সাথে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন।

এতে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে এসে নির্বাচন করেন, তাদেরকেও মানুষ সহজে গ্রহণ করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। প্রবাস থেকে যারা এসে জনপ্রতিনিধি হন। তাদের একটা গুণাবলি থাকে যে, সে ঘুষ, দূর্ণীতির উর্দ্ধে থাকে। কিন্তু তার ব্যতিক্রম বিশ্বনাথের নুনু মিয়া। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এতো দূর্ণীতির কথা উঠলেও আওয়ামী লীগও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

মেয়র মুহিব বলেন, এতোসব অন্যায় ও দুর্নীতির প্রমাণ আমার কাছে আছে। তা উপর মহলে পাঠিয়েছি। কিন্তু মেয়র হিসেবে আমার কিছু করার নাই। তবে আমি জনগনকে সচেতন করছি। এইসব অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে অবহিত করাই হচ্ছে আমার কাজ। আর সেটা নির্ভয়ে করে যেতে চাই’। কারণ আর যাতে বিযম্বনাথের জনগন প্রতারিত না হন।

বার্তাবাজার/এম আই