গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী (৩- গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান। ২৫ আগষ্ট শুক্রবার সকালে পৌর শহরের পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক সন্তোষ দে বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন তিনি। এ সময় থানা আওয়ামী লীগের সদস্য, পরে সহ- সভাপতি এবং ২০১৪ ও ২০১১ সালের কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি মনোনীত হয়ে এখন পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৯ সালের ২৩শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি এবং তাই স্ত্রী দেখা করে আসেন।ছাত্র জীবনে গোপলগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজে ডিগ্রি পর্যন্ত ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ মহাকুমা (পরে জেলা শাখার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ৬ দফা এবং ১৯ দফার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শেখ লুৎফর প্যানেলের পক্ষে কাজ এবং ছাত্রলীগের ওই প্যানেলকে বিজয়ী করতে কাজ করেন।

১৯৭০ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। যে নির্বাচনে তিনি ছাত্রলীগের নির্বাচন পরিচালনা টিমের সাথে গোপালগঞ্জের নির্বাচনী এলাকার প্রচারে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী সন্তোষ দে’র গোপালগঞ্জের শহরের বাসা ও গ্রামের বসত ঘর পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এছাড়া ১৯৭০ মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন গলাচিপার তরুন ছাত্রনেতা মরহুম আ খ ম জাহাঙ্গীরের সাথে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা হয়।

পরে তার পরামর্শে গলাচিপা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই এবং বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্য জোটের গলাচিপা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ পল্টন ময়দানের ছাত্র সমাবেশ ও ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক সমাবেশে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়। এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি’র সন্ত্রাসীর তার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। সারা দেশের মত সেসময় তারা গলাচিপায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

বিএনপির আমলে তাকে ছিনতাইকারী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম মাওলা রনি আওয়ামী লীগের এমপি হয়েও সন্তোষ দে কে, তখনকার সভাপতি হারুন অর রশিদ মিয়া, পৌর মেয়র আ. ওহাব খলিফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। ২০১০ সনে পানপট্টি ইউনিয়নে ১৫ আগষ্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় গোলাম মাওলা রনি নিজে উপস্থিত থেকে তার গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। এসময় তিনি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় এবং অনেকে আহত হয়।

অধ্যাপক সন্তোষ দে আরো বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। তাছাড়া নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা পক্ষে কাজ করে যাবো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন (টিটু), আঃ ছালাম, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন, পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল খলিফা, সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়কসহ অনেক উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/জে আই