গান-বাজনা, হৈহুল্লোড়; ফুটবলের বাইরে নেইমারের জীবনে একটা বড় অংশ এসব দিয়েই সাজানো। সেখানে ইউরোপ ছেড়ে কেমন কাটবে তাঁর সৌদি আরবের জীবন? কৌতূহলের শেষ নেই তাঁর সমর্থকদের মধ্যে।

শুধুই কি অর্থের কারণে তিনি সৌদি গেছেন, নাকি আরও কিছু শর্ত ছিল তাঁর সৌদিযাত্রার পেছনে– এসব নিয়ে যখন চারদিকে গুঞ্জন, তখন স্প্যানিশ এক মিডিয়ার খবর বেশ বেশ কিছু শর্ত দিয়েই নেইমার সৌদিতে যেতে রাজি হয়েছেন। প্যারিস থেকে যখন তাঁর রিয়াদ যাওয়ার প্রস্তাব আসে, তখন নেইমার পিএসজির কাছে কিছু শর্ত রেখেছিলেন। নেইমারের সেসব শর্ত মেনে নিয়েছে আল হিলালও।

নেইমারের দাবি মেনেই তাঁর জন্য ২৫ রুমের বিশাল এক বাংলো ঠিক করা হয়েছে। নেইমারের এজেন্ট বলে দিয়েছেন, সেই বাড়িতে ৪০ বাই ১০ ফুটের সুইমিং পুল ছাড়াও তিনটি স্টিম বাথ থাকতে হবে। সেই বাড়িতে সার্বক্ষণিক পাঁচজন গৃহকর্মী থাকতে হবে। এর সব কিছুই রাখা হয়েছে।

সেই সঙ্গে নেইমারের চাওয়া মতো তাঁর জন্য ৯টি গাড়ি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে লামবুর্গনির মতো সব বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে ২৪ ঘণ্টার চালকসহ। বছরে শুধু ১০ কোটি ইউরোই পাবেন না নেইমার, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবকে নিয়ে প্রতিটি প্রমোশনাল পোস্টের জন্য নেইমার পাবেন ৫ লাখ ইউরো!

এ ছাড়া অফ ডেগুলোতে নেইমারের প্রতিটি ভ্রমণের জন্য হোটেল, ট্রাভেল, রেস্টুরেন্ট এবং আনুষঙ্গিক সব খরচ দিতে হবে আল হিলালকে। নেইমারের ব্যক্তিগত বিমানের সব ধরনের খরচও মেটাতে হবে ক্লাবকে। আপাতত এটুকুই !

এসব সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পরই নেইমার আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং রোনালদোর মতো তিনিও বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে নিয়েই সৌদিতে থাকতে পারবেন।

সমুদ্র স্নান নেইমারের ভীষণ প্রিয়। লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর তীরবর্তী সৌদি আরবে সেই সুযোগ থাকছে তাঁর জন্য। তবে এ জন্য তাঁকে সৈকতের ব্যক্তিগত জায়গা কিনে নিতে হবে। ব্রাজিলের গণমাধ্যম গ্লোবোর খবর, সেই সমুদ্রতটও নাকি তাঁর জন্য আল হিলাল কিনে দেবে। তাই সব কিছু পেয়েই আল হিলালে এসেছেন নেইমার।