কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর ও জমি পাচ্ছেন ৪৬ টি পরিবার।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং-এ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমীন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল মোতালিব, দামিহা ইউপি’র চেয়ারম্যান একে মাইনুজ্জামান নবাব, জাওয়ার ইউপি’র চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রতন, তালজাঙ্গা ইউপি’র চেয়ারম্যান জাহেদ ভূঁইয়া, তাড়াইল-সাচাইল ইউপি’র চেয়ারম্যান সাঈম দাদ খান নওশাদসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

লুবনা শারমীন জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এই ৪৬টি পরিবারকে গৃহ ও জমি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে তাড়াইল উপজেলায় ৪৬টি ঘর উপকারভোগীদের নিকট ২ শতাংশ জমিসহ হস্তান্তর করা হবে। ইউএনও আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন চতুর্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে সারাদেশে ২২ হাজার ১০১ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্যে তাড়াইল উপজেলায় জমিসহ পাকাঘর পাবেন ৪৬ টি পরিবার। এর মধ্যে ১নং তালজাঙ্গা ইউনিয়নে ১২টি, ৫নং দামিহা ইউনিয়নে ১৪টি, ৭নং তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নে ১৪টি, ২নং রাউতি ইউনিয়নে ২টি এবং ৪নং জাওয়ার ইউনিয়নে একটিসহ মোট ৪৬টি অসহায় ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ২ শতাংশ ভূমিসহ ঘর দেয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যে নির্মাণাধীন ঘর ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত ঘরের চাবি, জমির কবুলিয়ত-দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআর এর কপি এবং ঘর প্রদানের সনদ সমন্বয়ে সজ্জিত ফোল্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজে শতভাগ উন্নত মানের উপকরণ ব্যবহার করে আধুনিক ও দর্শনীয় গৃহ নির্মাণ, উপকারীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি ঘরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রাখা হয়েছে এবং চলাচলের জন্য সুপ্রশস্ত রাস্তা বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন কাজের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুবনা শারমীন।

বার্তাবাজার/এম আই