টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে টাঙ্গিয়ে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উমরাডাংগী গ্রামে।

মারধরের শিকার আহত মেহেদী হাসান উমরাডাঙ্গী গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কিছু ব্যক্তি মেহেদী হাসানকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে আটকিয়ে হাত-পা বেঁধে টাঙ্গিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছে গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলামের বাড়িতে । এসময় নুরুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নাইমসহ কয়েকজন। পরে সেই ছাত্রের অবস্থার বেগতিক দেখে থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, ১৮ই জুলাই বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেহেদী হাসানকে আটকে রেখে দুই চেয়ারের মাঝখানে বাসের লাঠি ঝুলিয়ে হাত-পা বেধে পা উপরে মাথা নিচু করে বেধড়ক মারপিট করা হয়। সেই সময় মেহেদী হাসানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কারোই কথা রাখেনি নুরুলসহ তার সঙ্গীরা।

মারপিটের দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি এবং মেহেদীকে ছেড়ে দিতে বললে সে সব ব্যক্তিদের লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে বলে জানান এলাকাবাসী । মেহেদির পিতা শহিদুল জানান, মেহেদী হাসানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দশ দিন অতিবাহিত হলেও মেহেদী বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারে না। এমনকি খেতেও পারছেনা সে।খেতে না পারায় স্বাস্থ্যর অবনতি হচ্ছে।

এদিকে উন্নত চিকিৎসার দরকার অতিজরুরি। কিন্তু টাকার অভাবে মারধরের শিকার আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করাতে পারছেননা দিন মজুর বাবা। গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলাম বলেন, আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানি করার জন্য আমার নামে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম বলেন, সেই ছেলে আমার বাড়ি থেকে টাকা চুরি করেছে এবং আমার কাছে স্বীকারও করেছে। যার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/রাহা