নাইজারে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। ফলে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে।
বুধবার (২৬ জুলাই)নাইজারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা কর্নেল আমাদু আবদরামান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নাইজারের প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশব্যাপী জারি করা হয়েছে কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত।
টিভিতে ঘোষণা প্রদানের সময় কর্নেল আমাদু আবদরামানকে ঘিরে ছিলেন আরও ৯ সেনা কর্মকর্তা। ঘোষণার সময় তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং অপশাসন বেড়ে যাওয়ায় নাইজারের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ক্ষমতা দখলের পর কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কর্নেল আমাদু।
বুধবার সকালে নাইজারের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন যে, প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনীর সদস্যরা দৃশ্যত অভ্যুত্থানচেষ্টা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি নাইজারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজুমের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। নিউজিল্যান্ড সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে কথা বলেছি এবং স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, নাইজারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। সূত্র: রয়টার্স
বার্তাবাজার/এম আই