সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে থাকার ঘর।  ঘরের সামনে বাইরে বেধে রাখা আছে গৃহপালিত পশু আর ছোট আঙ্গিনায়  রয়েছে হাঁস মুরগী সহ বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ।  সব ঠিক থাকলেও একমাত্র নৈমেত্বিক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চলাচলের মুল রাস্তা।
ঘরবাড়ি থাকলেও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গলহাজরা দিঘি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৯ টি বাড়ির বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন চলাচলের রাস্তা না থাকার সমস্যা নিয়ে।
মঙ্গল হাজরা দিঘির পাড়ে দুই সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে উনিশটি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে বসবাসরত বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা, ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পরতে হয়।
কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতেই বেগ পেতে হয় তাদের। প্রকল্পটির সঙ্গে রাস্তার কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় সাধারন কৃষি জমির উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় তাদের। বর্ষার পানিতে জমি ডুবে গেলে চলাচলে প্রবল সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের। অনেক সময় রিক্সা ভ্যান এমনকি কাজের উদ্দেশ্যে নিজেরাও বের হতে পারেন না।
হাজরা দিঘির বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু  চলাচলের রাস্তা পাইনি। রাস্তার জন্য সরকারি দপ্তর, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও তাতে কোন লাভ হয়নি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় কয়েক’শ গজ বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়।
মাহাবুবা আকতার নামের এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তার অভাবে  ছেলে,মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে  হয় মানুষের জমির উপর দিয়ে । যখন ফসল ফলানো হয় তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়।
ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফিরোজ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ফলে  বাজারেই রেখে আসতে হয় রুজি রোজকারের একমাত্র সম্বলটি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না থাকলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির  বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার