ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে ঘটনাস্থলেই সাত যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলো উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রাম এলাকার সেনা সদস্য মাহমুদুল হাসান রনি’র স্ত্রী বিউটি পারভীন (৩০) ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত (১০)। নিহত অপর পাঁচজন বোয়ালমারী উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সরেজমিনে নিহতদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গত একমাস আগে বিউটি পারভীনের মাতা তাসলিমা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাতাকে দেখাশোনা করার জন্য মেয়ে বিউটি পারভীন তার সাথে ছিলেন। দীর্ঘ একমাস পর বিউটি পারভীনের মাতা সুস্থ হলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাদের আত্মীয়স্বজনসহ সাতজন যাত্রী বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তাদের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক ধারণা অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এতে আগুন ধরে যায়। চালকের পাশের জানালাটি খোলা ছিল। এছাড়া সব জানালা আটকানো ছিল। চালক রক্তাক্ত অবস্থায় বের হয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সে আটকেপড়া ৭ জনেরই মৃত্যু হয়।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ গ্রামে পৌঁছায়নি। তবে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। স্বজনদের হৃদয় বিদারক কান্না ও আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। দেখে মনে হয়েছে পুরো এলাকা যেন শোকে পাথর হয়ে গেছে।

মা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক বার্তা বাজার’কে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।

বার্তাবাজার/রাহা