মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তলব করা হয়েছে। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় কেন তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা থেকে কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১৩ মে তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়া হয়। ইসির পক্ষ থেকে এদিন সকল প্রার্থীকে সব ধরণের সভা সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু বড় ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ ও ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কমিশনের আদেশ অমান্য করে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সামনে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতীক পেয়ে বড় বড় লাঠির মাথায় আনারস বেধে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন নেতাকর্মীরা। এতে জনসাধারণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়। এছাড়া সমাবেশে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আশরাফুর রহমান হুমকি দিয়ে বলেন, আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে। নেতাকর্মীদের বাঁশের লাঠি নিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেন। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেন। সবশেষ নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন-আমি আশরাফুর রহমান আপনাদের পাশে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এরপরই নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ দাখিল করতে বলা হয়। পরেরদিন ১৪ মে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তাতে তিনি বলেন, কিছু অতি উৎসাহী কর্মীরা নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঙ্গনমূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করেছে, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের দেয়া জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তোষজক না হওয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল কেন হবে না এবং আইনানুগ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সশরীরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে কমিশনের সামনে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে সঠিক ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে।