নাটোরের গুরুদাসপুরে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিএম কলেজে একটি বস্তা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাদা রঙের প্লাস্টিকের বস্তাটির গায়ে ৩০ কেজি আমরুপালী কথা লেখা থাকলেও, সেখানে বিস্ফোরক দ্রব্য সাদৃশ্য বস্তুর উপস্থিতি পেয়েছে র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়কারী একটি দল।

শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে গুরুদাসপুর পৌর সদরের বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিএম কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে ওই বস্তা পাওয়া যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমান (সাইদ) জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কাজে শনিবার সকালে তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। নিজ কার্যালয়ের দরজার সামনে সাদা রঙের একটি ভরা বস্তা দেখতে পান তিনি। সেখানে লেখা রয়েছে‘আমরুপালী ৩০ কেজি। প্রাপক প্রিন্সিপাল,বঙ্গবন্ধু কলেজ,গুরুদাসপুর নাটোর। নিচে তার মোবাইল নম্বর লেখা ছিলো।’ বস্তাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনি গুরুদাসপুর থানায় খবর দেন।

অধ্যক্ষ আরো বলেন, কলেজটি নিয়ে একটা মহলের সাথে তার দ্বন্দ্ব চলছে। মূলত তাদেরই কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে পার্সেলের মধ্যে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু রাখতে পারে।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার পর কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কলেজ ক্যাম্পাসে উৎসুখ জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা ৩টা নাগাদ র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলটি বিস্ফোরক দ্রব্য সাদৃশ্য বস্তুর ধারণা করার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ পাহারা বাড়ানো হয়েছে। ঘিরে রাখা হয়েছে ওই বস্তাটি।

এরআগে ২০২১ সালে ১২ জুলাই গুরুদাসপুর পৌরসদরের উত্তরনাড়িবাড়ি মোড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি তাজা বোমা পাওয়া যায়। পরে ঢাকা থেকে আসা র‌্যাবের বোম নিস্ক্রীয়কারী দল নারিবাড়ী বিলে ওই বোমা চারটি নিস্ক্রীয় করে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. মনোয়ারুজ্জামান জানান, রাজশাহী থেকে আসা র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলটি দুপুর ৩টার দিকে
বস্তাটি পরীক্ষা করেন। এসময় র‌্যাবের দলটি ওই বস্তায় বিস্ফোরক দ্রব্য সাদৃশ্য বস্তু থাকার কথা জানান। বিস্ফোরক দ্রব্য সাদৃশ্য বস্তুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায়
র‌্যাবের দলটি নিস্ক্রীয় করতে পারেনি। ফলে ঢাকার র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলকে জানানো হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই