আমার সংস্কৃতি, আমার অহংকার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গারো পাহাড়ের পাদদেশে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘কোচ’ সম্প্রদায়ের বিহু উৎসব পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির অডিটরিয়ামে শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল অতিথিবরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বিকেল তিনটায় বিশেষ আনুষ্ঠানিকতায় অতিথিবরণ শেষে শুরু হয় আলোচনা সভা। নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্ব ও একাডেমির নৃত্য শিক্ষক মালা আর্থা আরেংয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষা, চর্চা ও সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কোচ সম্প্রদায়ের বিহু উৎসবসহ বাংলাদেশের ৫০টি নৃগোষ্ঠীর শতাধিক উৎসবগুলো নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও তাদের বিভিন্ন উৎসব সম্পর্কে জানতে পারবে মানুষ।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, কোচ সম্প্রদায়ের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। কোচ জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব বিহু। বিহু উৎসব হল কোচদের বর্ষবরণের উৎসব। কোচ নৃত্য ও গীতের মাধ্যমে বিহু উৎসব উদযাপিত হয়। কোচদের বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় বিহু উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতেই আমাদের একাডেমির এই আয়োজন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো: ফয়েজ আহমেদ, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব-উল-আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো: সফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, শিক্ষাবিদ ও গবেষক রেভা: মনিন্দ্র নাথ মারাক, হাজং লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং, লেখক ও গবেষক শরবিন্দু সরকার হাজং, কোচ লেখক ও গবেষক যুগল কিশোর কোচ, সমাজকর্মী সুশান্ত কোচ প্রমুখ।

আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কোচ সম্প্রদায়ের শিল্পীবৃন্দ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির শিল্পীগন এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

বার্তাবাজার/এম আই