পীরগঞ্জে সৎ ছেলে তার মা ও ভাই বোনকে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি দখল, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িতই নয়, ছেলে মেয়েদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুল্যাপুর গ্রামে।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্যাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের দু’জন স্ত্রী। ১ম স্ত্রীর ১ছেলে ফারুক মিয়া, ৪ মেয়ে যথাক্রমে শিল্পী, সম্পা, কাকুলি ও লিপিকে নিয়ে আব্দুল্যাপুর গ্রামে এবং ২য় স্ত্রী মর্জিনা বেগম ১ছেলে সাগর মিয়া ও ১মেয়ে সাগরিকা খাতুনকে নিয়ে কালশারডারা বাজার সংলগ্ন বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১৯ সালে শহিদুল ইসলাম হঠাৎ মারা গেলে ২য় স্ত্রী মর্জিনা বেগম স্কুল পড়ুয়া ছেলে সাগর ও কলেজ পড়ুয়া কন্যা সাগরিকাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন।

অপরদিকে ১ম স্ত্রীর ছেলে ফারুক মিয়া (৪২) মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া স্বভাবের। তার নামে মাদক, ধর্ষণসহ চেক জালিয়াতির অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ফারুক মিয়া তার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে সৎ মা মর্জিনা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এবং বাড়ি থেকে বলপূর্বক বের করে দেয়। অসহায় মর্জিনা বেগম ছেলে মেয়ে নিয়ে নিরুপায় হয়ে তারই বাবার দানকৃত কালশারডারা বাজার এবতেদেয়ী মাদ্রাসার জমিতে টিন সেটের ১টি ঘর তুলে বসবাস করছেন। সেখানেও নানা অজুহাতে ফারুক মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বসত ঘরের টিন কেটে দিয়েছে।

মর্জিনা বেগম জানান, আমার সতীন পুত্র ফারুক মিয়া আমাকে আমার স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেই খ্যান্ত হয়নি, স্বামীর রেখে যাওয়া রাইস মিল, দোকান ঘরসহ ১একর ৯৩ জমি বলপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। আমার ছেলে মেয়েদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ভাগও দিচ্ছে না। বরং প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র ছেলেসহ আমাদেরকে গুম, খুন ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছে।

এসব নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হলেও ফারুকের বে-পরোয়া আচরণের কারণে কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম রাজু’র সঙ্গে কথা হলে জানান, সবে ৪দিন পূর্বে যোগদান করেছি, এলাকাগুলো চিনে উঠতে পারিনি। ফলে এ মুহুত্বে মনে করতে পারছিনা। তবে অভিযোগ করলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তাবাজার/রাআ