মাদারীপুরের রাজৈরে তিন ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটানোকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের উপর হামলা করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই তিন ছাত্রসহ ২০ থেকে ২৫জন বহিরাগত কিশোরদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাধারন ছাত্র/ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, রোববার (৪ জুন) দুপুরে মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে যাওয়ায় শ্রেণি শিক্ষক ওই মোবাইল ফোন আটকিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, ক্লাসে দেরিতে আসা নিয়ে অষ্টম শ্রেণির অন্তর খালাসীসহ তিন ছাত্রকে অফিস সহকারী নাজমুল বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে ওই ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে বহিরাগত আরো ২০ থেকে ২৫জন কিশোর নিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে সহকারী শিক্ষক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক গোলক বল ও অফিস সহকারী নাজমুলকে মারধর করে। একপর্যায় শিক্ষকরা উপায়ন্ত না দেখে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই তিন শিক্ষককে মারধর করার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র/ছাত্রীরা টেকেরহাট-কবিরাজপুর সড়কের হোসেনপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
অফিস সহকারী নাজমুল জানান, দেরীতে ক্লাসে আসা ও গালাগাল করায় আমি বেত দিয়ে ওই ছাত্রকে দুটি বারি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্র অন্তর খালাসী জানান, অফিস সহকারী নাজমুল আমাদের এক ছাত্রের মোবাইল ফোন আটকে রাখা ও আমাকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার বিষয় নিয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকদের সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু জানান, শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে এলাকার কিছু সংখ্যক উৎশৃঙ্খল কিশোর। আমি এর বিচার দাবি করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ সালাউদ্দিন জানান, আমি বিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে মামলার কাজে বাহিরে ছিলাম। পরে শুনি আমার শিক্ষকদের উপর হামলা করে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা জানান, এ ব্যাপারে আমি খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
বার্তা বাজার/জে আই