মালয়েশিয়া এক বাংলাদেশি নারীকে অপহরণ করে মুক্তি পন দাবি করে একটি অপহরণকারী চক্র। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের স্বামী ও স্ত্রী ২ জন কে গ্রেফতার করেছে করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এসময় অপহৃত বাংলাদেশী নারী কেও পুলিশ উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতানের পিঠাঘরে ভুক্তভোগীগন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাংলাদেশী প্রবাসী দম্পতি মো. শিহাব পাসপোর্ট নং B00590487 এবং তার স্ত্রী নুপুর সুলতানা। বর্তমানে তারা দূজন রিমান্ডে রয়েছে। এঘটনায় টিকটকার মো.হৃদয় নামে আরেক সহযোগী পলাতক রয়েছে। এসময় অপহরণ কারী উম্মে রাইজাকে উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। এঘটনায় গ্রেপ্তার করে শিহাব ও তার স্ত্রী নুপুর সুলতানাকে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন। ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেন, আমার কাজিন উম্মে রাইজাকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া এনে অপহরণকারী চক্র তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে থেকে এক অজ্ঞত স্থানে নিয়ে যায়।

অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মো. শিহাব মোবাইল ফোনে ৫ লক্ষ থাকা দাবি করে। পরে বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতার মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তখন শিহাব আরও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। উক্ত টাকা না দিলে উম্মে রাইজাকে অনত্র বিক্রি করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে । এই সময় অপহৃত বাংলাদেশী নারী উম্মে রাইজা কে ৪ দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় শিহাব ও তার সহযোগীরা।

অপহরনকারীরা এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি তারা। মুক্তিপণ না দিলে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ এর ৫ বছরের শিশু কে নিয়ে বিক্রি করে দিবে বলে হুমকি দেয় তারা। পরে কুয়ালালামপুরের ডাংওয়াঙ্গি থানায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ঘঠনাস্থলে এসে শিহাব ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে টিকটকার হৃদয় পলাতক অবস্থায় ভুক্তভোগী কে আবারও হুমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় ডাংওয়াঙ্গি থানায় জিডি সহ কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ আরও বলেন, আমি আমার জীবন ও বাচ্ছার জীবন নিয়ে শংকিত। আমি এই ব্যাপারে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কর্মরত বাংলাদেশী ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।