মালয়েশিয়ায় বসবাসরত যে সমস্থ বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মচারী কোরবানি দেওয়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য পশু কোরবানি দিয়ে শতাধিক প্রবাসীদের হাতে মাংস তুলে দেন বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি কোম্পানির মালিক। তবে কোম্পানির নাম ও মালিকের নাম প্রকাশ করতে চান না মাংস বিতরণকারীরা। ঈদের পরের দিন (১৮ জুন) সকালে কুয়ালালামপুরের গুমবাগ সরকার নির্ধারিত স্থানে পশুগুলো কোরবানি দিয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে এ মাংস বিতরণের কার্যক্রম। এসময় প্রবাসীরা কোরবানির মাংস পেয়ে কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করে সকল প্রবাসীদের পাশে দাড়াতে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।

মালয়েশিয়ায় স্থানীয় ব্যাক্তি অথবা প্রবাসীরা কোন পশু কোরবানি করতে হলে দেশটির প্রানীসম্পদ মন্ত্রনালয় জাবাতান পারখিদ মাতান ভেটেরিনার এর অনুমতি ও সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। অনুমতি ছাড়া কোরবানি অথবা যত্রতত্র পশু জবাই করা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গন্য হয়। মালয়েশিয়ায় কোন কোরবানির পশু ক্রয়বিক্রয়ের জন্য কোন হাট বাজার নেই। সরকার অনুমোদিত নিদিষ্ট বানিজ্যিক খামার থেকে পশু কেনার পর সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি বা বিক্রয়ের জন্য মাংস প্রস্তুত করেন সংশ্লিষ্টরা।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ২ মিলিয়ন বাংলাদেশী প্রবাসীর বসবাস। দেশটিতে কোরবানি পশুর দামের আধিক্য ও সরকারি বিধি নিষেধ থাকার কারণে প্রায় ৯৯ ভাগ শ্রমিক কোরবানি দিতে না পারায় এসময় কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত হন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাংস বিতরণ কারী ব্যক্তি বলেন, দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশী সার্মথ্যবান ব্যবসায়ী, নিয়োগকর্তা ও ভিআইপিরা এগিয়ে এলে প্রবাসীদের স্বজনহীন নিরানন্দ ঈদ উদযাপনে কিছুটা বাড়তি আনন্দ যোগ হবে। এসময় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গাড়ীতে করে কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় কয়েক শতাধিক প্রবাসীদের মাঝে গরু ও ছাগলের শত শত কেজি মাংস বিতরণ করে প্রশংসিত হন সংশ্লিষ্টরা।