ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিচ্ছেন। আটকের পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙ্গে পড়ে তথ্য দিতে থাকেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে। তথ্য পেয়ে অবাকই হচ্ছেন তারা। তার মুখে নাম আসে বড়বড় রাঘববোয়ালদের নাম। যশোর ও ঝিনাহদাহের পাশাপাশি ঢাকার কয়েকজন ব্যক্তির নামও এসেছে। তাদের মধ্যে আছেন রাজনৈতিক নেতা, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ীর নাম। যাদের নাম এসেছে তাদের কললিষ্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ওইসব রাঘববোয়ালরা আনারকে হত্যা করার জন্য ৫ কোটি টাকা দিলেও খরচ হয়েছে মাত্র অর্ধকোটি টাকা। বাকি সাড়ে ৪ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন আরেক মাষ্টারমাইন্ড আকতারুজ্জামান শাহীন। অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি মিন্টুকে ঝিনাহদহে উপ-নির্বাচনে এমপি করার টোপ দিয়ে রেখেছিলেন রাঘববোয়ালা।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। পরে তাকে হত্যার খবর আসে। এঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুসারে কিছু হাড় ও মাংস খন্ড উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো আনারের কিনা তার ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে।