এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার এর অস্তিত্ব মিলেছে ২৭টি জেলায়। বাংলাদেশ ও ভারতে ‘বিগ ফোর’ সাপের মধ্যে একটি রাসেল ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এখন পর্যন্ত রাসেল ভাইপার সাপের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, সবাইকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকে রাসেল ভাইপার এর পোস্ট যেভাবে প্রচার হয়েছে, তাতে সতর্ক হওয়ার পরিবর্তে চৌদ্দগ্রামের ভারতীয় সীমান্ত নিকটবর্তী লোকজন সাপের ভয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে, অনেকেই ঝোপঝাড় পরিস্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে সাপের আতঙ্কের অন্য নাম রাসেলস ভাইপার । অন্য যেকোনো বড় সাপ দেখলেই রাসেল ভাইপার দেখা গেছে বলে গুজব ছরাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু চৌদ্দগ্রামে এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান মিলেনি এই বিষাক্ত সাপের ।

এদিকে ফেইসবুকে বিষাক্ত কোন সাপ দেখলে ০১৮৪৯৪১০১২৮ নাম্বারে ফেনী সাপ রেস্কিউ টিমকে কল দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ দেশের যেকোনো স্থানে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখার সঙ্গে সঙ্গে ০১৭৮০৯৩২৭১৭ নাম্বারে কল করে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে।

সংস্থাটির সভাপতি মো. রাজু আহমেদ একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, সাপ মারতে গিয়ে নিজে সাপের কামড়ের শিকার হবেন না। বিনামূল্যে সাপ উদ্ধার করে আপনাকে বিপদমুক্ত করবে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ।
আরেকটি পোস্টে রাসেলস ভাইপার কামড়ের শিকার হলে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে মো. রাজু আহমেদ জানিয়েছেন , কেউ যদি রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ের শিকার হন, কোনো ওঝা বা বেদের কাছে না গিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন। রাসেলস ভাইপার সাপ এর চিকিৎসায় অনেকেই যে ভুলগুলো করে থাকে তা হলো, কামড়ের পর অ্যান্টিভেনম নিয়ে সুস্থ হয়ে গেলে বাসায় চলে আসেন। ১৫ থেকে ২০ দিন পর রোগী আবার অসুস্থ হন এবং সিরিয়াস অবস্থা হয়ে মারা যান। তাই অ্যান্টিভেনম নেওয়ার পর ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।