বগুড়ায় তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়াশনের আয়োজনে (বামা) ও বানিজ্যমন্ত্রণালয়ধীন এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের (এপিবিপিসি) সহযোগিতায় হোটেল ক্যাসেল সোয়াদে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নিরাপদ ও আদর্শ বালাইনাশক উৎপাদন শীর্ষক কর্মশালা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান ও প্রধান আলোচক ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, বগুড়া কৃষির সম্ভাবনা বিগত বছর থেকে অনেক বেড়ে গেছে। চরে এখন মরিচের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে। সরিষা বাদাম ভুট্টার আবাদ বগুড়া শহরের সবগুলো উপজেলার উৎপাদিত হচ্ছে। বিশেষ করে মিস্টি কুমড়ার আবাদ ব্যাপক হারে বাড়ছে। নিরাপদ বালাইনাশক ব্যবহারে ফলন এখন অনেক ভালো উৎপাদিত হচ্ছে। আমরা কৃষির যে লক্ষমাত্রা রয়েছে তার থেকেও বেশি ফসল উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছি।
দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৪ এপ্রিল) নিরাপদ বালাইনাশক ব্যবহার শীর্ষক আলোচনায় বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, কৃষকদের মাঝে নিরাপদ বালাইনাশক ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে এখন অনেক বালাইনাশক বের হয়েছে যার গুনগত মান ঠিক নেই। এসব নকল ওষুধ চেনার জন্য আমরা ডিলার, কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক সভা করে থাকি। এই আয়োজনে সঠিক বালাইনাশক কিভাবে ব্যবহার করবে সেটার ধারনা দিতে ডিলারদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক ডিলার পয়েন্টে বায়োপেস্টিসাইড বা জৈব পেস্টনাশক কর্নার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

প্রধান আলোচক শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৃষিবিদ আবু নোমান ফারুক বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সকল এগ্রো কোম্পানির সচেতন হওয়া জরুরি। আমরা যখন ট্রেনিং করাচ্ছি তখন বার বার বলছি সঠিক পণ্য ব্যবহার ও নিরাপদ বালাইনাশক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি জমিতে নিম্নমানের ওষুধ প্রয়োগ না করা এবং ডিলাররা যেন বিক্রি না করতে পারে সেটির সচেতনতা বৃদ্ধি করা আমাদের সকলের দ্বায়িত্ব।