শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মামলার আসামী হয়ে শপথ নিতে পারেনি তিন ইউপি সদস্য । নব-নিবাচিত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের দায়েরকৃত মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শপথে অংশ না নেয়া তিন ইউপি সদস্য ৩নং ওয়ার্ডের জনাব আহমদ আলী মৃধা, ৪নং ওয়ার্ডের জনাব সাইফুল সরদার, ৯নং ওয়ার্ডের জনার ইব্রাহীম সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব রাজিবুল ইসলাম ইউনিয়নটির নব-নির্বাচিত অন্যান্য সব ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের শপথ পাঠ করালেও ঐ তিন ওয়ার্ডের মেম্বাররা অনুপস্থিত ছিলেন। একই দিন ঐ ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব নুরুল আমিন দেওয়ান শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এর কাছে শপথ পাঠ করেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রাজিবুল ইসলাম বার্তা বাজার’কে জানায়, যেসব ইউপি সদস্য শপথে অংশ নেয়নি তাদের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত ৯ মার্চ কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে চশমা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামকে মাত্র ৬৭ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন দেওয়ান। একই সাথে আরও দুই প্রার্থী ফজলুল হক কাউসার মোল্যা এবং আব্দুল হাই খান নির্বাচনে পরাজিত হোন।

পরে ২৭ মার্চ পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পরাজিত ৩ প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিজয়ী চেয়ারম্যানের ভাই গুরুতর আহত এবং উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হোন।

পরে ২৯ মার্চ বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন দেওয়ান ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। সে মামলার আসামী করা হয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব আহমদ আলী মৃধা, ৪নং ওয়ার্ডের জনাব সাইফুল সরদার, ৯নং ওয়ার্ডের জনার ইব্রাহীম সরকারকে। জানাগেছে, আহমদ আলী মৃধা, সাইফুল সরদার, ইব্রাহীম সরকার পরাজিত চেয়ারম্যানদের সমর্থক।