ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কাস্টমসে ভারত থেকে আসা এক নারী যাত্রীকে জোর করে মদ খাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে স্থলবন্দরের কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিং রুমে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী যাত্রীর নাম ঐশি সাহা। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জোগেন্দ্র এলাকায়।

ভুক্তভোগী ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন আগরতলার জোগেন্দ্রনগর এলাকার সঞ্জিত সাহা, তার বোন ঐশি সাহা ও তাদের আরেক আত্মীয়। এ সময় কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ে তাদের ব্যাগে একটি মদের বোতল পাওয়া যায়। মদের বোতলটি ছাড়িয়ে নিতে তাদের কাছে এক হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন কাস্টমসের সিপাহী মো. রুবেল। যদিও, প্রত্যেক বিদেশী যাত্রী একটি করে মদের বোতল আনতে পারবে- এমন নিয়মের কথা বলার পর সিপাহী রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই মধ্যে রুবেল বলতে থাকেন যে- ওই যাত্রীরা মাদক ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ী না হলে এখনই মদের বোতল ভেঙে খেতে হবে। পরবর্তীতে উত্তেজিত রুবেল তখন মদের বোতল ভেঙে পানিতে মিশিয়ে ঐশিকে খেতে বলেন। এতে ভাইয়ের সামনে বিব্রত হন ঐশি। পরে সঞ্জিতের কাছেও মদের গ্লাস নিয়ে যায় রুবেল। তখন ভারতীয় ওই যাত্রীদেরকে নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হতে থাকে। পরে খবর পেয়ে ওই যাত্রীদের পরিচিতরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

ভুক্তভোগী সঞ্জিত সাহা জানান, নিয়ম মেনেই তিনি এক বোতল মদ সঙ্গে এনেছেন। কিন্তু কাস্টমসের লোকজন এটা নিতে হলে টাকা দাবি করেন। রাজি না হওয়ায় তার বোনকে জোর করে খাইয়ে দিতে চায় মদ।

ঐশি সাহা বলেন, আমি বলেছি আমার বয়স ১৮ পার হয়েছে। মদ খেতে হলে বাসায় খাবো। আপনাদের সামনে কেন খেতে হবে। তবুও জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, এটা ভুল বুঝাবুঝি ছিলো। দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।