রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম (SPPUDW) নিয়ে এসআরএস এর কমিউনিটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে শ্রম অধিদপ্তর রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য ‘সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম’ (SPPUDW) বাস্তবায়ন করছে। সরকারের এই সামাজিক সুরক্ষার উপযুক্ত উপকারভোগী হলো রপ্তানিমুখী শিল্প যেমন তৈরি পোশাক, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা এবং ট্যানারি কারখানার কর্মহীন শ্রমিক। এই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার উপযুক্ত উপকারভোগী নির্বাচন মানদণ্ড পূরণ, বৈধ তথ্য প্রদান ও যাচাই সাপেক্ষে মাসিক ৩০০০ টাকা করে সর্বোচ্চ ৩ মাস আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। বহু শ্রমিক সরকারের এই (SPPUDW) কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারছে না, শুধু সচেতনতার অভাবে।

উক্ত বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও অবহিত করতে সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) উদ্যোগে আজ সকাল ১০.০০ টায় হাজারীবাগ থানাস্থ জেড এইচ সিকদার উইম্যান মেডিক্যাল কলেজ এর সামনে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম (SPPUDW) বিষয়ে কমিউনিটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাইদ, ঞঅঝঝঝজ এর সিনিয়র এক্সপার্ট (লেবার কম্পোনেন্ট) সৈয়দা সাদিয়া হাসান এবং সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা প্রমুখ সহ হাজারীবাগ এলাকা প্রায় ৪০০ জন (পাদুকা, চামড়াজাতপণ্য ও ট্যানারী) শ্রমিক।

TASSSR প্রকল্প এর ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় কমিউনিটি সমাবেশের প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন এসআরএস এর প্রোগ্রাম অফিসার, মোঃ মাজেদুর রহমান।

কমিউনিটি সমাবেশে ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালে যখন কোভিট-১৯ এর প্রভাবে দেশে বিভিন্ন কল কারখানা শ্রমিকরা বেকার বা কর্মহীন হয়ে পরেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সহায়তায় এই প্রকল্পটি সরকার বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু প্রচারনার অভাবে বেশির ভাগ শ্রমিক এই সামাজিক সুরক্ষা কথা জানেন না। কমিউনিটি সমাবেশের মাধ্যমে শ্রমিকদের মাঝে প্রচার করার জন্য এসআরএস এর আজকে আয়োজন।


বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, সরকারী সুরক্ষার আবেদন করতে বিটিএ পক্ষে থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

TASSSR এর সিনিয়র এক্সপার্ট (লেবার কম্পোনেন্ট) সৈয়দা সাদিয়া হাসান জানান সরকারী সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম এর মাধ্যমে একজন কর্মহীন শ্রমিককে মাসে ৩০০০ করে ৩ মাসে মোট ৯০০০ টাকা প্রদান করছে।

সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির, নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, প্রত্যেক শ্রমিকদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আছে যেখান থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু এই সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল এর সুবিধা সম্পর্কে অনেক শ্রমিক জানেন না। তাই আমাদের সকলের উচিত এই সরকারের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে নিজে জানা এবং অপরকে জানানো।া সম্পর্কে নিজে জানা এবং অপরকে জানানো।