পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানান দূর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন সাতজন ইউপি সদস্য। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টায় এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ কায়সার আকন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশনসহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পটুয়াখালী বরাবর দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স চেয়ারম্যান তার নিজের একটি এনজিও দিয়ে আদায় করিয়ে নিজে হাতিয়ে নেন এবং ব্যাংকে জমা দেননি। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের মৎস ভিজিএফ এর চাল চেয়ারম্যান কম দিতে চাইলে ইউপি সদস্যরা বারণ করেন আর চাল আনতে ক্যারিং খরচ হয়েছে বলে ইউপি সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন চেয়ারম্যান। ৩ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের থেকে টিউবওয়েল বাবদ ১৬ হাজার টাকা নেন যার টিউবওয়েল বা টাকা আজ পর্যন্ত কোনটাই ফেরত দেননি। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়নি। পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নিকাশ আজ পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের না দেয়া। সুবিধা ভূগীদের দেয়া সরকারি চাল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে না রেখে চেয়ারম্যান তার বাসার সামনে নিজস্ব অফিস করে সেখানে রাখেন। গত ১ বছরেও ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিষদের মাসিক সভা না করা। সদস্যদের হাজিরা খাতা ও রেজুলেশন খাতা চেয়ারম্যান তার বাসায় নিয়ে রাখেন, যখন তার প্রয়োজন হয় তার পচ্ছন্দের সদস্যদের সাক্ষর নেন এবং বাকীদের সাক্ষর নেন না। বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার কোন তথ্যই দেন না চেয়ারম্যান, মৃত বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার নাম পরিবর্তন করে নিজে টাকা নেন। এছাড়াও গ্রাম্ আদালতের লোক কার্যক্রম এখন পর্যন্ত হয়নি, যাতে করে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত জনগণ।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।