পরিবার স্বজনের মায় ত্যাগ করে বিদেশে মথায় গাম পায়ে ফেলে বাংলাদেশী প্রবাসীরা টাকা রোজগার করে। শুধু মাত্র নিজে ভালো থাকার জন্য নয় স্ত্রী সন্তান, মা বাবা ভালো রাখা সহ একটি বাংলাদেশ কে সমৃদ্ধ করার জন্যই প্রবাসীদের এই ত্যাগ। গাড়ীর ইঞ্জিন চলে তেলে আর বাংলাদেশের অর্থীতি চলে প্রবাসীর রক্তে। প্রবাসীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে তাদের রক্ত পানি করে রেমিট্যান্স পাঠায়। আর সেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে।

গতকাল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর কাম্পুং পানডান এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসা তাহ্ফিজ নুরুল হিদায়াহ এর উদ্যেগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সারাজাগানো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া নাগাইশ দরবার শরীফের হযরত মাওলানা মোশতাক ফয়েজী পীর সাহেব।

এসময় তিনি আরো বলেন, আপনারা যারা স্বজন ফেলে বছরের পর প্রবাসে থাকেন তারা হলেন সম্মানিত রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এই কাজটি অত্যান্ত কঠিন। সবাই এই ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন না। আপনারা যদি রেমিট্যান্স না পাঠান দেশের উন্নয়নের চাকা হঠাৎ করেই থেমে যাবে। এজন্যই যারা দেশে কাজ করেন তাদের চেয়ে প্রবাসে যারা কাজ করছেন তাদের অবদান একটু বেশি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ মানবজাতির উদ্যেশে বলেন, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতী পুরুষগণের উপর। আর ইফতার হচ্ছে এমন এক নেয়ামত দুনিয়ার সকল হালাল খাবারের চেয়ে অতি উত্তম। ইফতার সামনে রেখে মুমিনগণ যে দোয়া করবেন সে দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করেন।

এসময় উক্ত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. শহীদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা তাহ্ফিজ নুরুল হিদায়াহ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাজী আঃ রহমান বিন আবদুল্লাহ। পরিচালনা ও সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জালাল উদ্দীন ভুইয়া ও মো, জাহাঙ্গীর হাওলাদার।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,মালয়েশিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিএম বাবুল হাসান, মোশাররফ হোসেন, মাদ্রসা তাহ্ফিজ নুরুল হিদায়াহ এর এতিম কোরআনের হাফেজ শিশু শিক্ষার্থীগন, মাদ্রাসার উস্তাজ ও শিক্ষক বৃন্দ, মালয়েশিয়া প্রবাসী সহ অন্যন্যরা। সংক্ষিপ্ত বয়ান শেষে প্রবাসী ও মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোশতাক ফয়েজী পীর সাহেব।