সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে এশায়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। প্রধান অতিথি বলেন, প্রিয় নবীজির ভালোবাসার পথ ধরে যে সমস্ত মনীষীগণ ইতিহাসের সোনালী আলোয় সমুজ্জ্বল তাদের মধ্যে খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু চির স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। নবীজির অনুসরণ ও অনুকরণে এমন এক মহান জীবন গড়ে তুলেছেন যা খোদা সন্ধানীদের খোদাপ্রাপ্তির পথ নির্দেশনা দেয়। নবীজিকে অন্তরে লালন করার সুগভীর চেতনা, শরীয়ত ও সুন্নত পালনের অগাধ প্রেরণা। হযরত গাউছুল আজম আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু দোয়া করতেন, হে আল্লাহ আমার তরিক্বতকে আরব থেকে আজমে, জ্বীন থেকে ইনসানের মাঝে পৌঁছে দাও। কাগতিয়ার নিভৃত পল্লি থেকে শুরু হওয়া তরিক্বত আজ বিশ্বময় বিস্তৃত। আরব আমিরাতের আজকের এ সম্মেলন হযরত গাউছুল আজম আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দোয়ার বাস্তব প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, এ এমন তরিক্বত যেখানে অশান্ত অন্তরে এনে দেয় কাঙ্খিত শান্তি, অস্থির হৃদয়ে এনে দেয় প্রেমময় উপলব্ধি, গাফেল অন্তরে এনে দেয় মহান আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস এবং নবীজির প্রতি গভীর আদব ও ভালোবাসা। এ তরিক্বতের গভীরে রয়েছে নবীপ্রেমের ভিত্তি আর হযরত গাউছুল আজম আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এখলাস ও চোখের পানি। যাঁর মেহনত ও সাধনার বিনিময়ে মানবিক, সহানুভূতিশীল আলোকিত মানুষ তৈরি হচ্ছে, যারা পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যাক না কেন শান্তির বার্তা নিয়ে পৌঁছাবে, মাশাআল্লাহ।

গত শুক্রবার ৮ মার্চ, আমিরাতের আজমানস্থ ইন্টারন্যাশনাল এমিরেটস ক্লাবে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখাসমূহের উদ্যোগে সালানা ওরসে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ফাতেমায়ে ছানি, জামানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রহ.) এর পবিত্র ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল এশায়াত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দুবাই কমিউনিটির জনপ্রিয় প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মুহাম্মদ হারুন এম. আজাদ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বোগদাদী, মাওলানা জাফর আহমদ, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুল আলম প্রমুখ।

সম্মেলনে আমিরাতের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারত, পাকিস্তান, স্থানীয় আরবী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতিতে সম্মেলনস্থল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও কাতারের ধর্মপ্রান মুসলমানেরা লাইভে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে মাননীয় প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।