নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে অভিযান চালিয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি বহুতল ভবন ও কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ির পনের হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে । এসময় বহুতল ভবন ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তামশিদ ইরাম খান এর নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের পশ্চিম দেওভোগ ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুইটি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপনন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোশতাক মাসুদ মোহাম্মদ ইমরানসহ অন্যান্য সহকারি ব্যবস্থাপক ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় দিদার খন্দকার মালিকানাধিন দশ তলাবিশিষ্ট বহুতল ভবন খন্দকার টাওয়ারে অভিযান চালায় তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দুইটি ফ্লোরে ভবন মালিক পরিচালিত কমিউনিটি সেন্টার ও অন্যান্য ফ্লোরের আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রমান পাওয়া যায়।
তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের বিল বই দেখতে চাইলেও দেখাতে ব্যর্থ হন তারা। পরে পুরো ভবনটির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ কমিউনিটি সেন্টারটি স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজষ্ট্রেট। সেখান থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ, রাইজার ও বার্ণার।
এরপর তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ও দুই নম্বর ঢাকেশ্বরী এলাকার দুইটি স্পটে। সেখানে দুই কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকার চার হাজার বাড়ির পনের হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, সরকারের সিম্পদ রক্ষায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধে জেলা জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।