অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটডের বরখাস্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

কোম্পানির পক্ষ থেকে দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের এই মামলায় জামিনে ছিলেন রাশেদ বিন আমান। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

অর্থ লোপাটের অভিযোগে মীর রাশেদ বিন আমানকে প্রধান আসামি করে কোম্পানির পক্ষ থেকে করা হয়েছে মামলা। রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মাধ্যমে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কেনারও অভিযোগ উঠেছে। দেশেও কিনেছেন বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। কোম্পানির কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ জুন মীর রাশেদ বিন আমান কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে এক কোটি টাকা ও ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিজ অ্যাক্যাউন্টে জমা ও আত্মসাত করেন।

এদিকে, রাশেদ বিন আমানের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত চলমান কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া নতুন প্রজন্মের জীবন বিমা কোম্পানি সোনালী লাইাফের সারাদেশে তাদের ২০৫টি শাখা। কোম্পানিটির বীমা গ্রাহক সাত লাখের বেশি। এজেন্ট রয়েছে ৩০ হাজারের মতো, এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৮০০ জন।