গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশী হামলা এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বিকালে পুরানা পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান-এর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সরকার তাদের মাফিয়া সিন্ডিকেটের জন্য নতুন লুটপাটের সুযোগ তৈরি করতে আবারও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে। সেই সাথে রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সিন্ডিকেটও তৎপর হচ্ছে নতুন লুটপাটের আয়োজন করতে। আর এইসব লুটপাটের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার কারণেই সরকার তার পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করেছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন কোনো হামলা-মামলাই ডামি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং তাদের লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামিয়ে রাখতে পারবে না। মঞ্চের নেতারা সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেন, তাদের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ যে গণরায় দিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে অচিরেই নতুন গণ-আন্দোলন গড়ে উঠবে। এবং তাদেরকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে যারা সিন্ডিকেটের কোন কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি তারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আবারো ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। ‘ছয় মাস পর সিন্ডিকেট থাকবে না’ এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত সিন্ডিকেটের রাজত্বকেই প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। মানুষের জীবনের নাভিশ্বাস তোলার বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আর তীব্রতার হবে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিলপূর্বক সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের সাথে আলোচনা করে নতুন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে আন্দোলন জোরদার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এস এস শামসুল আলম নিক্সন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।