পটুয়াখালী পৌর শহরের নিউমার্কেট বাজারের কিচেন মার্কেটে স্টল বরাদ্দের নামে মেয়র মহিউদ্দিনের স্বজনপ্রীতির কারনে অসহায় অগ্নিকান্ডে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা। অভিযোগ রয়েছে বর্তমান মেয়র ও মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের ভাইয়ের ছেলে আদনান শাহরিয়ার আবিদ, পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা পারভিন, মেয়রের উপদেষ্টা ফরহাদ জামান বাদল, মেয়রের ঘনিষ্ঠ লোকজনসহ প্রতিটি কাউন্সিলর একটি করে স্টল বরাদ্দ পান। তবে অনেক দৌড়ঝাপের পর যারা স্টল পেয়েছেন তাদের গুনতে হয়েছে স্টল নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে প্রায় তিনগুণ টাকা। আর এই স্টলের পিছনে ঘুড়তে ঘুড়তে অনেকেই এখন কর্মহীন হয়ে ঋণের ফাঁদে পড়ছেন। এদিকে এসএম ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন কাউন্সিলর তাদের পাওয়া স্টল চড়াদামে বিক্রি করেছেন। বাকি কাউন্সিলর ও মেয়রের ঘনিষ্ঠ লোকজনও তাদের পাওয়া স্টলগুলো গোপনে বিক্রির পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও নির্মাণের আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও উচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে মেয়রের বিরুদ্ধে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ভুক্তভোগী  বলেন, ২০২১ সালের শেষের দিকে মেয়র মহিউদ্দিন ও তার বন্ধু হাফিজুর রহমান (হাফিজ) নিউমার্কেট বাজারের কিচেন মার্কেট করার ঘোষণা দিয়ে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তুু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাতে আপত্তি দেন। এদিকে ৬ অক্টোবর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের পর মেয়র মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে পটুয়াখালী পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে ৩ বছর পর স্টল নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এদিকে স্টল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল মেয়র খাতে ১৫% সংরক্ষিতসহ ১০৪ টি স্টল লটারি পদ্ধতিতে বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। ছোট বড় প্রায় ২৫০ টির মত স্টল নির্মাণ হলেও মাত্র ৪০ টি স্টল লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেন। বাকী স্টল মেয়র তার ঘনিষ্ঠ স্বজনদের বরাদ্দ দেন। এদিকে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের রাজনীতি মাথায় রেখে স্বচ্ছল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে স্টল বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এসব বিষয়ে মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, পটুয়াখালী পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিউমার্কেটের কিচেন মার্কেট নির্মান করা হয়েছে। তবে এখনও শেষ হয়নি। ভাইয়ের ছেলে আবিদের নামে কোন স্টল বরাদ্ধ নাই। তাছাড়া আবিদ মানষিক প্রতিবন্দি তার কথা কতটুকু কাউন্টাবল? পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি। এছাড়া কাউন্সিলর ও যুবলীগ সভাপতির স্ত্রীর ব্যপারে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।