মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্যাংশন ভিসা নীতি না পেয়ে বিএনপি কথা বলা বন্ধ করেছে। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিভিন্ন নালিশ দিয়েও হতাশা ছাড়া আর কিছুই পায় নি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায় বা চেয়েছিল সেটি পায়নি বিএনপি। তাই এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ইস্যুতে দলটি নিশ্চুপ হয়ে গেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল যেহেতু সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সে কারণে আলাদাভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয় নি। তাছাড়া বিএনপির সঙ্গে শেষ যে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল করেছে তাতে দলটি আরও হতাশায় ডুবেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা এখন মুক্তি পাচ্ছে অথচ তাদের নেতারা উল্টো বলছে তাদের নেতাকর্মীদেরকে জেলে ঢুকাচ্ছে সরকার। বিএনপি নেতাদের এ সবা কথা বার্তায় বুঝা যায় তারা মিথ্যাচার করছে ও আবোল- তাবোল কথা বলছে । বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঝরা হয়ে গেছে। এখন তাদের গলার জোর একটু কমে গেছে। মুখে বিষটা আরও উগ্র হয়ে গেছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থ সংকট প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবত ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা সে ব্যবস্থা করছি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

বার্তা বাজার/আইএফ